4 Min.

স্বাধীনতা দিবসের নেপথ্য কাহিনী 🇮🇳 EP 02 [জানা অজানা‪]‬ Filmifootage

    • Darstellende Kunst

এই স্বাধীনতা দিবসের নেপথ্যে রয়েছে আরও এক অদ্ভূত ইতিহাস।
১৯২৯ সালে কংগ্রেসের (Congress) লাহোর অধিবেশনে পূর্ণ স্বরাজের ঘোষণা পত্র গৃহিত হয় এবং ২৬ জানুয়ারিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা।
১৯৩০ সাল থেকে এ দিনটিকেই কংগ্রেস স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করত, যতদিন না ভারত স্বাধীনতা পায় ।


এদিকে তারমধ্যেই শুরু হয়ে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। দীর্ঘ যুদ্ধে ব্রিটেনের সরকারি অর্থভাণ্ডার প্রায় নিঃশেষ হয়ে যায়। ১৯৪৬ সালে আর্থিক সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। সেই সময় ব্রিটেনের লেবার সরকার বুঝতে পারে, অস্থির পরিস্থিতির মাঝে ভারতের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাদের দেশের মানুষের সমর্থন নাও পাওয়া যেতে পারে। এমনকী আন্তর্জাতিক সমর্থনও যে মিলবে না তাও অনুধাবন করে ব্রিটেনের তৎকালিন সরকার।
এরপরেই ১৯৪৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি (Clement Attlee) ঘোষণা করেন, ১৯৪৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ভারতকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে চলেছে ব্রিটেন সরকার।
তাহলে ১৫ অগাস্ট কীভাবে ভারতের স্বাধীনতা দিবস হল?
লর্ডমাউন্টব্যাটেনকে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ক্ষমতা হস্তান্তরের যে আদেশপত্র দিয়েছিল তাতে বলা ছিল এই কাজ শেষ করতে হবে ৩০ জুন, ১৯৪৮-এর মধ্যে। এ ব্যাপারে সি রাজাগোপালাচারীর বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছিলেন, ইংরেজরা যদি ১৯৪৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করত, তাহলে হস্তান্তর করার মত কোনও ক্ষমতাই তাদের হাতে থাকত না। ফলে মাউন্টব্যাটেন সে কাজ এগিয়ে এনেছিলেন ১৯৪৭ সালের অগাস্টে।

মাউন্টব্যাটেনের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে ভারতের স্বাধীনতা বিল ব্রিটিশ হাউস অফ কমন্সে পেশ করা হয় ১৯৪৭ সালের ৪ জুলাই। দু সপ্তাহের মধ্যেই তা পাশ হয়ে যায়।

তবে সেই ঘোষণার পর আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। সেই সময় ভারতের নবনিযুক্ত ভাইসরয় লর্ড মাউন্

এই স্বাধীনতা দিবসের নেপথ্যে রয়েছে আরও এক অদ্ভূত ইতিহাস।
১৯২৯ সালে কংগ্রেসের (Congress) লাহোর অধিবেশনে পূর্ণ স্বরাজের ঘোষণা পত্র গৃহিত হয় এবং ২৬ জানুয়ারিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা।
১৯৩০ সাল থেকে এ দিনটিকেই কংগ্রেস স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করত, যতদিন না ভারত স্বাধীনতা পায় ।


এদিকে তারমধ্যেই শুরু হয়ে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। দীর্ঘ যুদ্ধে ব্রিটেনের সরকারি অর্থভাণ্ডার প্রায় নিঃশেষ হয়ে যায়। ১৯৪৬ সালে আর্থিক সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। সেই সময় ব্রিটেনের লেবার সরকার বুঝতে পারে, অস্থির পরিস্থিতির মাঝে ভারতের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাদের দেশের মানুষের সমর্থন নাও পাওয়া যেতে পারে। এমনকী আন্তর্জাতিক সমর্থনও যে মিলবে না তাও অনুধাবন করে ব্রিটেনের তৎকালিন সরকার।
এরপরেই ১৯৪৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি (Clement Attlee) ঘোষণা করেন, ১৯৪৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ভারতকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে চলেছে ব্রিটেন সরকার।
তাহলে ১৫ অগাস্ট কীভাবে ভারতের স্বাধীনতা দিবস হল?
লর্ডমাউন্টব্যাটেনকে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ক্ষমতা হস্তান্তরের যে আদেশপত্র দিয়েছিল তাতে বলা ছিল এই কাজ শেষ করতে হবে ৩০ জুন, ১৯৪৮-এর মধ্যে। এ ব্যাপারে সি রাজাগোপালাচারীর বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছিলেন, ইংরেজরা যদি ১৯৪৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করত, তাহলে হস্তান্তর করার মত কোনও ক্ষমতাই তাদের হাতে থাকত না। ফলে মাউন্টব্যাটেন সে কাজ এগিয়ে এনেছিলেন ১৯৪৭ সালের অগাস্টে।

মাউন্টব্যাটেনের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে ভারতের স্বাধীনতা বিল ব্রিটিশ হাউস অফ কমন্সে পেশ করা হয় ১৯৪৭ সালের ৪ জুলাই। দু সপ্তাহের মধ্যেই তা পাশ হয়ে যায়।

তবে সেই ঘোষণার পর আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। সেই সময় ভারতের নবনিযুক্ত ভাইসরয় লর্ড মাউন্

4 Min.