2分

Fulkusmar Jangale | ফুলকুশমার জঙ্গল‪ে‬ KOUSIK SATPATI

    • 地域情報/トラベル

বৈশাখের মাঝামাঝি, এক রোদ ঝলমলে দিনে আমরা বেরিয়ে পড়লাম।
এমনই একটা জায়গার খোঁজ ছিল অনেকদিন থেকেই।
আজ ফুলকুসমার আম বাগান খুঁজতে বেরিয়ে পথ হারিয়ে আবিষ্কার করলাম জায়গাটা।
এই শুন্য মাঠের মরুদ্যানে মন এমন উদাস হয়, যে ইচ্ছে করে এই পাথরের পাশে, শিশির ভেজা ঘাসে, পূর্ণিমার আলোতে এখানেই রাত কাটাই।
জীবন, মৃত্যু, ঈশ্বর ও প্রকৃতির দুর্বোধ্য রহস্যকে বোঝার তপস্যা করি।

কিছুটা শৈশবের পাগলামির নেশা জাগছে মনে, ডাঁসা খেজুরের ঝাঁকটা নাগালের কাছেই, তল বিছিয়ে ঝরে আছে এখানে ওখানে।

ফেরার পথে খানিক দূরেই কয়েক শ বিঘা আমের বাগান। ট্রাক ভর্তি হয়ে যাচ্ছে কলকাতায়। জঙ্গল মহলের রুক্ষ লাল পাথুরে মাটির আমের স্বাদ যে খায়নি তাকে বোঝাই কি করে? অপূর্ব।

পথে দইওলার সাথে দেখা ।
এমন ফেরিওয়ালা অনেক কাল দেখিনাই আমাদের ওখানে। পেরিয়ে গিয়েও দাঁড়ালাম , আলাপ করার লোভে। সেই শিশুকালে দেখতাম একজন আসতেন পাকামাথা,ঝুলে পড়া চামড়া, সাদা থানের পাঁচি পরা ফুট পাঁচেকের বুড়া। মোটা কাঁচের চশমা, মাথার পিছনে দড়ি দিয়ে বাঁধা, বাঁকে নিয়ে পাথরের বাটি, থালা। গ্রামে যতনা হতো বিক্রি বাটা, তার চেয়েও বেশি ছিল দর কষা।
পাড়ার কিছু লোক রাগাত " বুড়া উড়াকলে চাপেছে
বুড়া লড়েছে তো পড়েছে "
রেগে আগুন হয়ে যেতেন, আর তাতেই মজা পেত কেউ কেউ। আমার দুঃখ হত।

যাইহোক জিজ্ঞেস করলাম গরুর দুধের তৈরি?
ক্ষীণ কণ্ঠে উত্তর দিলেন, "হুমম বাড়িতে পাতা"।
আমি আর টাবু দুজনে দু কাপ খেয়ে দেখলাম। তার সহজ-সরলতার স্বাদ '' টক " বটে।

বৈশাখের মাঝামাঝি, এক রোদ ঝলমলে দিনে আমরা বেরিয়ে পড়লাম।
এমনই একটা জায়গার খোঁজ ছিল অনেকদিন থেকেই।
আজ ফুলকুসমার আম বাগান খুঁজতে বেরিয়ে পথ হারিয়ে আবিষ্কার করলাম জায়গাটা।
এই শুন্য মাঠের মরুদ্যানে মন এমন উদাস হয়, যে ইচ্ছে করে এই পাথরের পাশে, শিশির ভেজা ঘাসে, পূর্ণিমার আলোতে এখানেই রাত কাটাই।
জীবন, মৃত্যু, ঈশ্বর ও প্রকৃতির দুর্বোধ্য রহস্যকে বোঝার তপস্যা করি।

কিছুটা শৈশবের পাগলামির নেশা জাগছে মনে, ডাঁসা খেজুরের ঝাঁকটা নাগালের কাছেই, তল বিছিয়ে ঝরে আছে এখানে ওখানে।

ফেরার পথে খানিক দূরেই কয়েক শ বিঘা আমের বাগান। ট্রাক ভর্তি হয়ে যাচ্ছে কলকাতায়। জঙ্গল মহলের রুক্ষ লাল পাথুরে মাটির আমের স্বাদ যে খায়নি তাকে বোঝাই কি করে? অপূর্ব।

পথে দইওলার সাথে দেখা ।
এমন ফেরিওয়ালা অনেক কাল দেখিনাই আমাদের ওখানে। পেরিয়ে গিয়েও দাঁড়ালাম , আলাপ করার লোভে। সেই শিশুকালে দেখতাম একজন আসতেন পাকামাথা,ঝুলে পড়া চামড়া, সাদা থানের পাঁচি পরা ফুট পাঁচেকের বুড়া। মোটা কাঁচের চশমা, মাথার পিছনে দড়ি দিয়ে বাঁধা, বাঁকে নিয়ে পাথরের বাটি, থালা। গ্রামে যতনা হতো বিক্রি বাটা, তার চেয়েও বেশি ছিল দর কষা।
পাড়ার কিছু লোক রাগাত " বুড়া উড়াকলে চাপেছে
বুড়া লড়েছে তো পড়েছে "
রেগে আগুন হয়ে যেতেন, আর তাতেই মজা পেত কেউ কেউ। আমার দুঃখ হত।

যাইহোক জিজ্ঞেস করলাম গরুর দুধের তৈরি?
ক্ষীণ কণ্ঠে উত্তর দিলেন, "হুমম বাড়িতে পাতা"।
আমি আর টাবু দুজনে দু কাপ খেয়ে দেখলাম। তার সহজ-সরলতার স্বাদ '' টক " বটে।

2分