5 min

বৃদ্ধাশ্রম | কন্ঠে : পার মিতা | লেখা : সংগৃহীত | #paromita #paromitar kobita Ami Toke Ki Bolbo

    • Stories for Kids

#paromita #paromitar_kobita #paromitapramanick



#বৃদ্ধাশ্রম 

কন্ঠে : পার মিতা 

লেখা : সংগৃহীত  ( লেখক এর নাম কেউ জানলে ,জানবেন )



সময়টা প্রায় পঁচিশ বছর আগের...আমি তখন চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালে কেমোথেরাপি তে কাজ করি...কিছু রোগী কে আমাদের আউটডোর বেসিস এ কেমো দিতে হত...একদিন তাদের মধ্যেই দেখলাম এক মাতৃস্বরূপা ভদ্রমহিলা কে ...নাম- লতিকা চক্রবর্তী...ওনাকে কেমো করার সময় দেখি একপাল লোকজন নিয়ে এগিয়ে এল এক উদ্দাম বোহেমিয়ান টাইপ দাড়িওয়ালা মানুষ ..." ডাক্তারবাবু , উনি আমার মা । মা আমার সবকিছু । মা'কে কেমো দেবার সময় আপনি আমাকে একটু পাশে থাকতে দেবেন ?..আসলে মায়ের খুব কষ্ট হয় এই কেমো নেবার সময় । আমি আপনাকে কোনরকম ডিস্টার্ব করবনা ..

শুধু মায়ের একটা হাত ধরে থাকব আমি ।" 

সেই বলাটার মধ্যেই কিছু একটা ছিল । আমি আর না করতে পারিনি । পরম মমতায় সে জড়িয়ে রইল মা'কে । আদরে ভালবাসায় আর্দ্র তার গলা - " এই তো মা ..আমি আছি...এই তো হয়ে এসেছে ..কোন কষ্ট নেই..দেখো ডাক্তারবাবু কি সুন্দর ইঞ্জেকশন দিচ্ছেন...না না আর ব্যথা লাগবেনা " । কেমো শেষ হল । ডাক্তারবাবুর চোখে তখন জল । 

সেই প্রথম আলাপ হল মানুষটির সঙ্গে । নাম জিজ্ঞাসা করলাম ।  পাশ থেকে কেউ একজন বলল " ওর নাম নচিকেতা চক্রবর্তী । গান গায় । এবার পুজোয় ওর একটা ক্যাসেট বেরিয়েছে কিছুদিন আগে । এই বেশ ভাল আছি - ক্যাসেট টার নাম" । 

বাড়ি ফিরে ক্যাসেট টা শুনলাম । কিছুক্ষণ কথা বলতে পারিনি । এই কন্ঠ!! এই গায়কী !! এই বলিষ্ঠ শব্দচয়ন !! এ গায়ক তো সাধারণ নয় । রীতিমতো শিক্ষিত চর্চিত শিল্পী ।

সেই দিন থেকেই উনি আমার নচি'দা হয়ে উঠলেন আর আমি কখনও পার্থ কখনও ডাক্তার। 

কয়েক মাস পর চলে গেলেন মাসিমা ।  দেখা হল নচিদার সঙ্গে ।...." পার্থ , বুঝলি মা কে সঙ্গে নিয়েই সব  জায়গায় যাই এখন, আগে বাড়িতে রেখে এদিক ওদিক যেতে হত, অসুস্থ থাকত , আমার দুশ্চিন্তা হত ।

#paromita #paromitar_kobita #paromitapramanick



#বৃদ্ধাশ্রম 

কন্ঠে : পার মিতা 

লেখা : সংগৃহীত  ( লেখক এর নাম কেউ জানলে ,জানবেন )



সময়টা প্রায় পঁচিশ বছর আগের...আমি তখন চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালে কেমোথেরাপি তে কাজ করি...কিছু রোগী কে আমাদের আউটডোর বেসিস এ কেমো দিতে হত...একদিন তাদের মধ্যেই দেখলাম এক মাতৃস্বরূপা ভদ্রমহিলা কে ...নাম- লতিকা চক্রবর্তী...ওনাকে কেমো করার সময় দেখি একপাল লোকজন নিয়ে এগিয়ে এল এক উদ্দাম বোহেমিয়ান টাইপ দাড়িওয়ালা মানুষ ..." ডাক্তারবাবু , উনি আমার মা । মা আমার সবকিছু । মা'কে কেমো দেবার সময় আপনি আমাকে একটু পাশে থাকতে দেবেন ?..আসলে মায়ের খুব কষ্ট হয় এই কেমো নেবার সময় । আমি আপনাকে কোনরকম ডিস্টার্ব করবনা ..

শুধু মায়ের একটা হাত ধরে থাকব আমি ।" 

সেই বলাটার মধ্যেই কিছু একটা ছিল । আমি আর না করতে পারিনি । পরম মমতায় সে জড়িয়ে রইল মা'কে । আদরে ভালবাসায় আর্দ্র তার গলা - " এই তো মা ..আমি আছি...এই তো হয়ে এসেছে ..কোন কষ্ট নেই..দেখো ডাক্তারবাবু কি সুন্দর ইঞ্জেকশন দিচ্ছেন...না না আর ব্যথা লাগবেনা " । কেমো শেষ হল । ডাক্তারবাবুর চোখে তখন জল । 

সেই প্রথম আলাপ হল মানুষটির সঙ্গে । নাম জিজ্ঞাসা করলাম ।  পাশ থেকে কেউ একজন বলল " ওর নাম নচিকেতা চক্রবর্তী । গান গায় । এবার পুজোয় ওর একটা ক্যাসেট বেরিয়েছে কিছুদিন আগে । এই বেশ ভাল আছি - ক্যাসেট টার নাম" । 

বাড়ি ফিরে ক্যাসেট টা শুনলাম । কিছুক্ষণ কথা বলতে পারিনি । এই কন্ঠ!! এই গায়কী !! এই বলিষ্ঠ শব্দচয়ন !! এ গায়ক তো সাধারণ নয় । রীতিমতো শিক্ষিত চর্চিত শিল্পী ।

সেই দিন থেকেই উনি আমার নচি'দা হয়ে উঠলেন আর আমি কখনও পার্থ কখনও ডাক্তার। 

কয়েক মাস পর চলে গেলেন মাসিমা ।  দেখা হল নচিদার সঙ্গে ।...." পার্থ , বুঝলি মা কে সঙ্গে নিয়েই সব  জায়গায় যাই এখন, আগে বাড়িতে রেখে এদিক ওদিক যেতে হত, অসুস্থ থাকত , আমার দুশ্চিন্তা হত ।

5 min