43 sec

110 An-Nasr || সূরা নাস‪র‬ অর্থসহ কোরান তেলাওয়াত || Quran Recitation with Bangla Translation

    • Islam

সূরা আন নাসর (আরবি: سورة النصر) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১০ তম সূরা। তাফসীরকারীদের সর্বসম্মত অভিমত এই যে, সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ এবং এর আয়াত সংখ্যা ৩টি। সূরা নছর-এর অপর নাম সূরা "তাওদী"। "তাওদী" শব্দের অর্থ বিদায় করা। এ সূরায় রসূলে কারীম-এর ওফাত নিকটবর্তী হওয়ার ইঙ্গিত আছে বিধায় এর নাম "তাওদী" হয়েছে।[১]

হযরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত আছে যে, সূরা নছর কোরআনের সর্বশেষ একদফায় পূর্ণাঙ্গভাবে অবতীর্ণ সূরা। অর্থাৎ, এরপর কোন সম্পূর্ণ সূরা একদফায় অবতীর্ণ হয়নি, অন্যান্য সূরার আয়াত নাযিল হয়েছে। অত:এব কারো কারো বর্ণনায় সূরা আন নছরের পর কোন কোন আয়াত নাযিল হওয়ার যে তথ্য পাওয়া যায়, তা এর পরিপন্থী নয়। সূরা ফাতেহাকে এই অর্থেই কোরানের সর্বপ্রথম সূরা বলা হয়। আর্থাৎ, সম্পূর্ণ সূরারূপে একদফায় সূরা ফাতিহাই সর্বপ্রথম নাযিল হয়েছে। সুতরাং সূরা আলাক, মুদ্দাস্‌সির ইত্যাদির কোন কোন আয়াত পূর্বে নাযিল হলেও তা এর পরিপন্থী নয়।[২]


নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান

ঠিক কখন এ সূরাটি নাযিল হয়েছিল সে সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। হযরত ইবনে ওমর বলেনঃ সূরা নছর বিদায় হজ্বে অবতীর্ণ হয়েছে।[৩] এরপর "আলইয়াওমা আকমালতু লাকুম দিনাকুম" আয়াত অবতীর্ণ হয়। এর পর রসূলুল্লাহ্‌ মাত্র আশি দিন জীবিত ছিলেন। রসূলুল্লাহ্‌ -এর জ়ীবনের যখন মাত্র পঞ্চাশ দিন বাকী ছিল, তখন কামালার আয়াত নাযিল হয়। অতপরঃ মৃত্যুর পঁয়ত্রিশ দিন বাকী থাকার সময় "লাকাদ যা-আকুম রাসূলুম মিন আনফুছিকুম আযীযুন আলাইহি ..." আয়াতটি অবতীর্ণ হয় এবং একুশ দিন বাকী থাকার সময় ইত্তাক্বু ইয়াওমান তুরযাউনা ফিহী ..." আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।[৪]



শানে নুযূল

এই সূরার আয়াতসমূহ নবী মুহাম্মদ কে উদ্দেশ্য করে বর্ণিত। মক্কা বিজয়ের লক্ষণসমূহ পরিস্ফুট হয়ে ওঠা এবং এ বিজ

সূরা আন নাসর (আরবি: سورة النصر) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১০ তম সূরা। তাফসীরকারীদের সর্বসম্মত অভিমত এই যে, সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ এবং এর আয়াত সংখ্যা ৩টি। সূরা নছর-এর অপর নাম সূরা "তাওদী"। "তাওদী" শব্দের অর্থ বিদায় করা। এ সূরায় রসূলে কারীম-এর ওফাত নিকটবর্তী হওয়ার ইঙ্গিত আছে বিধায় এর নাম "তাওদী" হয়েছে।[১]

হযরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত আছে যে, সূরা নছর কোরআনের সর্বশেষ একদফায় পূর্ণাঙ্গভাবে অবতীর্ণ সূরা। অর্থাৎ, এরপর কোন সম্পূর্ণ সূরা একদফায় অবতীর্ণ হয়নি, অন্যান্য সূরার আয়াত নাযিল হয়েছে। অত:এব কারো কারো বর্ণনায় সূরা আন নছরের পর কোন কোন আয়াত নাযিল হওয়ার যে তথ্য পাওয়া যায়, তা এর পরিপন্থী নয়। সূরা ফাতেহাকে এই অর্থেই কোরানের সর্বপ্রথম সূরা বলা হয়। আর্থাৎ, সম্পূর্ণ সূরারূপে একদফায় সূরা ফাতিহাই সর্বপ্রথম নাযিল হয়েছে। সুতরাং সূরা আলাক, মুদ্দাস্‌সির ইত্যাদির কোন কোন আয়াত পূর্বে নাযিল হলেও তা এর পরিপন্থী নয়।[২]


নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান

ঠিক কখন এ সূরাটি নাযিল হয়েছিল সে সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। হযরত ইবনে ওমর বলেনঃ সূরা নছর বিদায় হজ্বে অবতীর্ণ হয়েছে।[৩] এরপর "আলইয়াওমা আকমালতু লাকুম দিনাকুম" আয়াত অবতীর্ণ হয়। এর পর রসূলুল্লাহ্‌ মাত্র আশি দিন জীবিত ছিলেন। রসূলুল্লাহ্‌ -এর জ়ীবনের যখন মাত্র পঞ্চাশ দিন বাকী ছিল, তখন কামালার আয়াত নাযিল হয়। অতপরঃ মৃত্যুর পঁয়ত্রিশ দিন বাকী থাকার সময় "লাকাদ যা-আকুম রাসূলুম মিন আনফুছিকুম আযীযুন আলাইহি ..." আয়াতটি অবতীর্ণ হয় এবং একুশ দিন বাকী থাকার সময় ইত্তাক্বু ইয়াওমান তুরযাউনা ফিহী ..." আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।[৪]



শানে নুযূল

এই সূরার আয়াতসমূহ নবী মুহাম্মদ কে উদ্দেশ্য করে বর্ণিত। মক্কা বিজয়ের লক্ষণসমূহ পরিস্ফুট হয়ে ওঠা এবং এ বিজ

43 sec