AUDIO PITARA AD FREE

Ad free and exclusive episodes from all our shows

4.99 $ за мес. или 49.99 $ за год

গল্প শেষের রাত্রি (Shesher Ratri)

বছর ৩৫-এর যতীন আজ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী জীবনের উপান্তে দাঁড়িয়ে তার একটাই চিন্তা যে তার চেয়ে ১২ বছরের ছোট মণি কি করবে সে যখন এ পৃথিবীতেই থাকবে না। মণি যতীনের স্ত্রী তা সমাজ মেনে নিলেও মণির শিশু মনে সংসারের জটিলতা যেন কিছুতেই বোধগম্য হয়না। ওদিকে যতীনের মাসি তিনি আবার মণির কোনকিছুই সহ্য করতে পারেন না। এ হেন মণি কি যতীনের মৃত্যুর পরে কি বিয়ে করবে নাকি যতীন এর সম্পত্তি নিয়ে কাটিয়ে দেবে সারাজীবন। এই গল্পে তৎকালীন সময়ের হিন্দু সমাজের চিত্র ও সম্পর্ককে পরিস্ফুট করেছেন গুরুদেব তার কলমে।

Выпуски

  1. EP 01: মনির জেদ

    ВЫПУСК 1

    EP 01: মনির জেদ

    "যতীনের থেকে অন্ততপক্ষে বারো বছরের ছোট মণি তার স্ত্রী হলেও বয়সে সে ছেলেমানুষই বটে। সংসারের জটিলতা বালিকা বধূ মণির মাথায় কিছুই ঢোকেনা। রোগগ্রস্ত যতীনের কাছে তার মাসিশাশুড়ি তাকে ঘেঁষতে দেয় না আবার সংসারের কুটোটিও নাড়তে দেন না। মাসির এ হেন আচরণে বিস্মিত হয় মণি আর ভাবে তার দোষ কোথায়? যদিও প্রেমের মন এবং ভালোবাসার টান মণির আছে কি না বা থাকলেও তা কতটুকু তাকে জানা বা বোঝার অবকাশ যতীনের কখনো হয়ে ওঠেনি এই নিয়েও মণির বিস্তর অভিমান রয়েছে। তাই মণি তার সখিদের সাথে খেলাধুলো, থিয়েটার, সাহিত্য চর্চা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে। এ হেন মণি কি পারবে সংসারী হয়ে উঠতে? মণির জেদ কি মণিকে সেইদিকে নিয়ে যাবে? Learn more about your ad choices. Visit megaphone.fm/adchoices

    13 мин.
  2. EP 02: মাসির অনুরোধ

    ВЫПУСК 2

    EP 02: মাসির অনুরোধ

    মণি ততদিনে সীতারামপুরে চলে গেছে তার বাপেরবাড়ির মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। অনাথ এসে নিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু এসব কিছুই ঘটেছে যতীনের আড়ালে। মাসি অবশ্য নানান অছিলায় মণির যতীনের জন্য সারাদিনের ব্যস্ত থাকার ফিকির শুনিয়ে যান। যতীন মৌরলা মাছের ঝোল খেতে খড় ভালোবাসে। দই, বেদানার জ্যুস প্রভৃতি পথ্যও তাকে খেতে হয়। মণি কিন্তু সৎ ভাবেই চেয়েছিলো যতীনকে বলে যেতে আর যতীন চেয়েছিলো মণিকে ভালোবাসার দুটো কথা বলে বুকে জড়িয়ে নিতে। কিন্তু মাসির দ্বৈত চরিত্র দুজনকে কখনো এক হতে দেয়নি। মাসির শেষ বয়সে নিরাপত্তার অভাব নাকি প্রতিপত্তিশালী মণিকে হেয় করার চেষ্টা কোনটা যে সঠিক তা ঠাওরানো বড় মুশকিল। তাই যেদিন মণি তার বাপের বাড়ি যাবে বলে স্হির সিদ্ধান্ত নেয় সেদিন মাসি বিপদে পড়ে যতীনের শয্যাশায়ী অবস্থায় মণির স্ত্রী হিসেবে কি করণীয় তা বোঝাতে গিয়ে মাসি অনেক অনুনয় বিনয় করেছিলেন। মণি তাকে নস্যাৎ করলে মাসি প্রত্যুত্তরে ঠিক কি বললেন? Learn more about your ad choices. Visit megaphone.fm/adchoices

    13 мин.
  3. EP 03: বিষয় আশয়

    ВЫПУСК 3

    EP 03: বিষয় আশয়

    "আমি সুখের উপরে জবরদস্তি করিনি... আমি সেই জিনিস চেয়েছিলুম যার ওপরে কারো স্বত্ব নেই, সমস্ত জীবন হাতজোড় করে অপেক্ষাই করলুম..." যতীনের এই উপলব্ধি আসলে তার মণির আগত ভবিষ্যৎকে ঘিরেই। যতীনের একটা আশঙ্কা ছিলোই যে তার মৃত্যুর পর কিশোরী ও বিধবা মণিকে যেন কোন অভাবেই না পড়তে হয়। কিন্তু মাসির তা পছন্দ না হলেও মুখ ফুটে কিছু বলে না। মাসির অপত্য স্নেহের একটা বিশেষ কারণ এই যে তিনি নিঃসন্তান এবং ভয়ের কারণ নিরাপত্তাহীনতা। তাই মণিকে যতীন বিষয় আশয় লিখে দিয়ে গেলেও মাসিকে তার অভিভাবক করে গিয়েছিলো। মাসি কিন্তু বুঝতে পেরেছিলেন যে যতীন এমন একজন পুরুষ যার সংবেদনশীল মন সবার জন্য চিন্তায় ব্যস্ত হয়ে থাকে নিজের দিকেও সে ফিরে তাকায় না। যতীনের জীবনের শেষ কটা দিনকে মাসি স্মরণীয় করে তোলবার হাজারো চেষ্টা করেছেন। সবসময় তিনি মণির গুণগান গেয়ে গেছেন যতীনের কাছে। মাসি চেয়েছেন মণি তার মতো করেই চলুক, তার প্রতিটা কথাকেই বেদবাক্যের মতো অনুসরণ করুক। কিন্তু বাস্তবে যে সেটা সম্ভব নয়। যতীন নিজের মতো করে মণিকে একতরফা ভালোবেসে বিষয় আশয়ের সমস্তটাই লিখে দিয়ে গিয়েছে। মাসির কথায় "সে যে তোকে কি দিয়ে যাচ্ছে, তা যদি তুই বুঝতিস!" Learn more about your ad choices. Visit megaphone.fm/adchoices

    13 мин.
  4. EP 04: স্বপ্ন ভঙ্গ

    ВЫПУСК 4

    EP 04: স্বপ্ন ভঙ্গ

    চাকর শম্ভুর কাছে জানতে পারে যতীন যে গত তিনদিন ধরে মণি তার বাপেরবাড়ি সীতারামপুরে গেছে। এ কথা শোনার পর থেকেই মণির সাধের বানানো পশমের শালখানি শেলের মতো বিঁধছে যতীনের সারা শরীরে। এক সময় যতীনের মনে মণির সেলাই না করতে পারা সত্ত্বেও যে শালখানিকে প্যারিস এগজিবিশনের থেকেও কম কিছু মনে হয়নি, আজ তাই তার কাছে স্বপ্ন ভঙ্গের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। যতীন ওষুধ, পথ্যি, খাওয়া দাওয়া সব ভুলেছে। সে মৃত্যুকে কামনা করে চলেছে অন্ধকারের রাত্রির মতো। যতীন হিসেব করে চলেছে যে তার অপরাধ কোথায়? সে যে মণিকে কোনোদিন কোনোকিছুতেই জোর করেনি। বরং নিজের রোগের জন্য মণির চাওয়া পাওয়াকে কোনোদিন পূরণ করতে পারেনি ভেবে ভেতরে ভেতরে নিজেকে ক্ষমা করতে পারেনি। তা বলে আজ মণি এতবড় তার শোধ নিতে পারে এতটাও ভাবেনি সে। তাই মাসিকে আর জন্মে নিজের মেয়ের মতো করে পেতে চেয়েছে। নিজের চেয়ে বয়সে ছোট কাউকে ভালোবাসলে যে সেখানে প্রেম কখন অপত্য স্নেহে বদলে যায় তা বোধহয় খুব কম মানুষই বুঝতে পারে। মাসি কি একবারটি মণিকে যতীনের কাছে আসতে দিতে পারতো না? তার নড়বার শক্তিটি নেই জেনে যতীন রেগে উঠেছে নিজের ওপর। এমন এক রাতে মরণাপন্ন যতীনের পায়ে কার দুটি রিনরিনে শাঁখা পলা সমেত হাত পড়াতে অস্ফুটে বলে ওঠে, "ও শাল আমার চাই না মাসি"। মণি সেদিন তার যতীনকে দেখে সামলাতে না পেরে সব আগল ভেঙে লুটিয়ে পড়ে সংসারের হৃত স্বপ্নকে জুড়তে। মাসি আর তাতে বাধা দেন না। Learn more about your ad choices. Visit megaphone.fm/adchoices

    15 мин.

Подкасты с преимуществами по подписке

AUDIO PITARA AD FREE

Ad free and exclusive episodes from all our shows

4.99 $ за мес. или 49.99 $ за год

Об этом подкасте

বছর ৩৫-এর যতীন আজ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী জীবনের উপান্তে দাঁড়িয়ে তার একটাই চিন্তা যে তার চেয়ে ১২ বছরের ছোট মণি কি করবে সে যখন এ পৃথিবীতেই থাকবে না। মণি যতীনের স্ত্রী তা সমাজ মেনে নিলেও মণির শিশু মনে সংসারের জটিলতা যেন কিছুতেই বোধগম্য হয়না। ওদিকে যতীনের মাসি তিনি আবার মণির কোনকিছুই সহ্য করতে পারেন না। এ হেন মণি কি যতীনের মৃত্যুর পরে কি বিয়ে করবে নাকি যতীন এর সম্পত্তি নিয়ে কাটিয়ে দেবে সারাজীবন। এই গল্পে তৎকালীন সময়ের হিন্দু সমাজের চিত্র ও সম্পর্ককে পরিস্ফুট করেছেন গুরুদেব তার কলমে।

Еще от провайдера «Audio Pitara»